মহিপুর থানা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর মহিপুরের যেখানেই জনদুর্ভোগ ও জনসাধারণের যে কোন সমস্যা সমাধানের নিবেদিত প্রান মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও গাজী টিভির কুয়াকাটা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম।
ছোটবেলা থেকেই ছিলেন সাধারণ জনগনের আদরের এবং আস্থার পাত্র।
মহিপুরের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সুধীরপুর গ্রামে তার জন্ম। ছিলেন মহিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই ছোট থেকেই।
মহিপুরে নিজ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করেন আমবাগান শিল্পগোষ্ঠী ও আমবাগান খেলাঘড়।
৪৭ বছর বয়সী মনিরুল ইসলাম একজন তরুণ সমাজ সেবক হিসেবে আস্থা অর্যন করেন সাধারণ জনগনের। মহিপুরের বিভিন্ন স্কুলে দুস্থ ও অসহায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর স্কুল ড্রেস বিতরন করেন তিনি। মহিপুর বাজার কে আলোকিত করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান প্রচেষ্টায় অনেকগুলো সোলার লাইট স্থাপন করেন তিনি।
মহিপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠার পরে ২ টার্ম ধরে সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
যখন দীর্ঘ বছর ধরে মহিপুর বাজারের মানুষ জলাবদ্ধতায় এবং সড়কের খানা খন্দের কারনে দূর্বিশাহ জীবন অতিবাহিত করছিল তখনি তিনি নিজ উদ্দোগে জন দূর্ভোগ লাঘোবের জন্য রাস্তা সংস্কারের উদ্দোগ গ্রহন করেন।
মহিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজীদে সোলার লাইটের ব্যাবস্থা করেছেন তিনি। মহিপুর ইউনিয়নের সুধীরপুর, কমরপুর, দক্ষিণ নিজামপুর, ইউসুফ পুর এবং বিপিনপুর গ্রামের কিছু অংশে মোট ১৬ কিলোমিটার বিদ্যুৎ এর ব্যাবস্থা করেছেন তিনি। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য নিজ প্রচেষ্টায় বেরিবাধ নির্মানের ব্যাবস্থা করেন। সুধীরপুরে তিনি নিজ প্রচেষ্টায় ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করেন। তার প্রচেষ্টায় সুধীরপুর গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন।
এছাড়াও মহিপুরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মহিপুর সেতু উদ্দান নামে একটি ফুল বাগান করেন তিনি। মহিপুরের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সময় অনুদান প্রদান ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম প্রদান করেন তিনি।
যার কারনে সমাজের সকল স্তরের সাধারণ জনগনের আস্থার পাত্রে পরিনত হয়েছেন তিনি।
নিজামপুর গ্রামের সালাউদ্দীন ফরাজী জানান আমাদের এই দূর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং মনির ভাইয়ের প্রচেষ্টায় আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি।
মস্তফা চৌকিদার জানান আমাদের এলাকায় বেরিবাধ ভেঙে সাগরের পানিতে এলাকা তলিয়ে যেতো এবং খবর পেয়ে তিনি ক্যামেরা নিয়ে গলাসমান পানিতে এসে আমাদের এই দূরবস্থা মিডিয়ায় তুলে ধরার কারনে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নির্মিত হয় আমাদের এই বেরিবাধ।
ইউনুচ গাজী জানান তার প্রচেষ্টায় আমরা সুধীরপুর গ্রামে আমারা ভোটকেন্দ্র পেয়েছি।
ফরিদ ফকির জানান সাগর সিনেমা হল থেকে নিজামপুর বেরিবাধ পর্যন্ত আমরা পাকা রাস্তা তার প্রচেষ্টায় পেয়েছি।
শিক্ষানুরাগী শাহ আলম হাওলাদার জানান মহিপুর বাজারের প্রবেশ দ্বারটির দূরবস্থা সেই। ২০১৬ সাল থেকে কোন জনপ্রতিনিধি এই রাস্তা সংস্কারে এগিয়ে আসেনি অনেক লেখালেখি করেছি কিন্তু অবশেষে রাস্তা সংস্কারে এগিয়ে আসেন মনিরুল ইসলাম। তার এই মহৎ কাজকে আমরা স্বাগত জানাই।
মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন মানব সেবা আমি সেই ছোটবেলা থেকে করে আসছি যা আমি আমার পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করে আসছি যার কারনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাধার এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি তাই বলে থেমে যাইনি। যতদিন বেচে আছি ততদিন এই সেবামূলক কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন আমাদের সমাজের বিত্তবানদের এই সেবামূলক কাজে এগিয়ে আসা উচিৎ।